মঙ্গলবার, ২৯ Jul ২০২৫, ১২:৩০ অপরাহ্ন
॥এম.এইচ আক্কাস॥ ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের রাজবাড়ী জেলাধীন গোয়ালন্দ উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে স্থাপিত বিআইডব্লিউটিসি’র যানবাহনের ওজন স্কেলে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে কাঁচামাল ভর্তি ট্রাক থেকে চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। এতে ভূক্তভোগী যানবাহন চালকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। করোনা ভাইরাসের আপদকালীন সময়েও চাঁদাবাজী থেমে নেই।
প্রতিদিন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে কমপক্ষে ৪/৫শত মাল ভর্তি ট্রাক এই রুট দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যায়। এর মধ্যে এক-দেড়শত করে কাঁচামাল ভর্তি ট্রাক থাকে। প্রতিটি ট্রাক দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরীতে ওঠার আগে এই স্কেলে ওজন করা হয়। সেই ওজনের স্লীপ না দেখালে ঘাটের বুকিং কাউন্টার থেকে ফেরী পারাপারের টিকেট দেয়া হয় না। কাঁচামাল ভর্তি ট্রাকগুলো আবার প্রায়ই ওভার লোড থাকে। এছাড়া চাল, ভুট্টা, গম ইত্যাদি পণ্যের ওভার লোডের ট্রাকও দালালের মাধ্যমে পার করা হয়ে থাকে। ওভার লোডের গাড়ীগুলোকে পুলিশ আটক করে মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে চালকদের কাছ থেকে ১ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে থাকে। রাত যত গভীর হয় চাঁদা আদায়ের পরিমাণও ততই বেড়ে যায়। কোন চালক কোথায়ও অভিযোগ করলে হাইওয়ে পুলিশ তাকে সমস্যার মধ্যে ফেলে দেয়। এ কারণে চালকরা সহজে মুখ খুলতে চায় না।
কয়েকজন ভুক্তভোগী ট্রাক চালক নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে বলেন, এই স্কেলে আমাদেরকে নানা রকমের চাঁদা দিতে হয়। আমরা টাকা দিতে বাধ্য হই। টাকা না দিলে মারপিট করে। পরের বার আসলে আরও বিপদে পড়তে হয়।
এ ব্যাপারে স্কেলে দায়িত্বরত আহ্লাদীপুর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট অহিদ বলেন, আমি কোন কথা বলতে পারব না। যা বলার ওসি স্যার বলবেন। কোন কিছু বলার থাকলে তাকে বলুন।
আহ্লাদীপুর হাইওয়ে থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, কেউ চাঁদাবাজী করছে কিনা তা আমার জানা নাই।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলু বলেন, আমার কাছে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ কেউ করে নাই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply